ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)
গোয়েন্দা জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী
গোয়েন্দা জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী
সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ
সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ
বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে
বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে
কুবি প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
কুবি প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিল শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ
বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ
বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি
বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি
  • নজরদারির অভাবেই বেড়ে ওঠে মিল্টন সমাদ্দাররা

    নজরদারির অভাবেই মিল্টন সমাদ্দাররা বেড়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও দায় আছে। এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারকে মানবপ্রেমী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
    খুশী কবির
    খুশী কবিরনারী অধিকারকর্মী

    নারীর অধিকার খর্ব করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়

    নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির। দুঃস্থ নারীদের কল্যাণে সমন্বয়ক হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ‘নিজেরা করি’-তে যোগ দেন। নারীর বর্তমান অবস্থান, ক্ষমতায়ন, সম-অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয় নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি-  কালবেলা: স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি কতটা হলো? খুশী কবির: শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই যুগ যুগ ধরে নারীর অবদান অনেক। ঘরে, কৃষিতে, অফিস আদালতে, কলকারখানা— সব জায়গায় নারীর অবদান রয়েছে। উৎপাদনমুখী যে কোনো কাজে নারী এবং পুরুষ যেই অংশগ্রহণ করুক সকলেরই অবদান রয়েছে। কিন্তু সাধারণত সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মূল্যায়নে নারীর অবদানকে সামনে নিয়ে আসা হয় না। নারীর অবদানকে উপেক্ষা করা হয়। শত বছর
    ড. সজল চৌধুরী
    ড. সজল চৌধুরীস্থপতি, শিক্ষক ও স্থাপত্য পরিবেশবিষয়ক গবেষক

    স্থাপনা নির্মাণে পরিবেশগত গুরুত্ব থাকতে হবে

    প্রথমেই আসা যাক বর্তমান পরিবেশগত অবস্থা নিয়ে। বর্তমান তাপপ্রবাহে মানুষের জীবন দুর্বিষহ যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, এটি সহজেই অনুমেয় ভবিষ্যতে আমাদের বসবাসের পরিবেশ আমাদের প্রজন্মের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব ফেলবে! শহরের যে প্রান্তেই তাকানো যাক, শুধু দেখা যায় বড় বড় কাচের বাক্স! বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা যাক। কিছুদিন আগেও পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ নগর ও শহরাঞ্চলে বসবাস করত। সদ্য পেরিয়ে আসা ২০২০ সালের মধ্যেই শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪.৫ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধারা এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শহরগুলোর মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচ বিলিয়নের ওপর। দ্য জার্নাল অব
  • মোস্তফা কামাল
    মোস্তফা কামালডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

    শিক্ষায়ও ছেলেখেলার হাইকোর্ট দর্শন

    বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো মর্মে একটা প্রবাদ আছে। এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে—বোকা বানানো বা ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। এর পেছনে নানা গল্প। একটি হচ্ছে এমন—এক বাঙালি ছেলে ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে গিয়ে ওখানকার এক মেয়ের সঙ্গে বেশ সম্পর্ক পাতে। মেয়েটিকে পটাতে বাংলাদেশ হাইকোর্টের ছবি দেখিয়ে বলে এটা তার বিশাল বাড়ি। পটিয়ে-পাটিয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করে দেশে নিয়ে আসে। একদিন হাইকোর্টের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটি হাইকোর্ট দেখে চেঁচামেচি শুরু করে ও সবাইকে এ ঘটনা জানিয়ে দেয়। আরেকটি ভার্সন এমন—কলকাতার হাইকোর্টটি ছিল পরাধীন ভারতের বাঙাল প্রদেশের হাইকোর্ট। তখন বাংলা বলতে বোঝাত আজকের উভয় বঙ্গকেই। পূর্ববাংলার লোকেরা মামলাবাজি বেশি করত। মামলা-মোকদ্দমার তারিখে তারিখে তাদের কলকাতায়
    হুসেইন ইবিশ
    হুসেইন ইবিশসিনিয়র রেসিডেন্ট স্কলার, আরব গালফ স্টেইটস ইনস্টিটিউট, ওয়াশিংটন।

    গাজায় ‘জয়ী’ হতে না পেরে অন্যত্র দৃষ্টি ইসরায়েলের

    মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে অপেক্ষাকৃত ভয়ংকর শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। অন্তত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি মিসাইল, রকেট ও ড্রোন হামলার অতি উত্তেজনাকর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, অবশ্যই গাজা তার বাইরে ছিল।   অবশ্যম্ভাবী একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের ভয় প্রশমিত হয়েছে। যে কোনো মূল্যে এই মুহূর্তে যুদ্ধ এড়ানোর বিষয়ে দু'পক্ষই সচেষ্ট ছিল। তাদের বিশ্বাস, এর মধ্যদিয়ে কৌশলগত প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং নৈতিক জাতীয় শক্তি জোরদারের মধ্যদিয়ে কট্টরপন্থিদের সমালোচনা এড়াতেও সক্ষম হয়েছে তারা। ফলে, ইসরায়েল ও ইরান যে সরাসরি একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না এর মাধ্যমে তা এবার প্রতীয়মান হয়েছে। নিজেদের বিবাদ মীমাংসা না হওয়া সত্ত্বেও দু-পক্ষই পাল্টা হামলা থেকে বিরত থাকার
    আবু এন. এম. ওয়াহিদ
    আবু এন. এম. ওয়াহিদঅধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর, জার্নাল অফ ডেভোলাপিং এরিয়াজ

    ঢাকার ভেতরে আরেক ঢাকা

    এই লেখার বিষয়স্তু – ‘ঢাকার ভেতরের ঢাকা'। তথাপি শুরু করছি কলকাতার গল্প দিয়ে। ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব খুব বেশি নয়। এই দুই কাহিনির অন্তর্নিহিত মিলও খুব কাছাকাছি। লেখাটির ধারণা ও প্রেরণার উৎস ইউটিউবে দেখা কলকাতার ‘তারা নিউজ'-এর অনুষ্ঠান - 'বই পড়া বইপাড়া'। দেখেছি অনেক দিন আগে। অনুষ্ঠানটি একটি জনপ্রিয় টক শ' ছিল। প্রতি রোববার প্রাইম-টাইমে প্রচারিত হতো। এখন হয় কিনা জানি না। এর উপস্থাপক, লেখক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় একেক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গের একেকজন প্রথিতযশা কবি- সাহিত্যিকের সঙ্গে 'স্টারম্যাক্স'-এর নির্দিষ্ট স্টুডিওতে বসে আড্ডা জমাতেন। এই আলোচনায় অনেক মজার মজার কথা, গল্প, কাহিনি, ঘটনা, তথ্য, ইত্যাদি শুনতে পাওয়া যেত। আমন্ত্রয়িতা তার এই অনাড়ম্বর আয়োজনে অতিথি হিসেবে
  • ইমানদার যে কাজ প্রাধান্য দেবে

    মানুষ পৃথিবীতে ভালো-খারাপ যা-ই করবে, পরকালে সব দৃশ্যমান হবে এবং প্রতিটি কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে। হাশরের মাঠে ভালো কাজগুলো সুদর্শন হয়ে আসবে এবং ভালো প্রতিদান দেওয়া হবে। আর মন্দ কাজগুলো কুৎসিত হয়ে আসবে এবং মন্দ পরিণাম দেওয়া হবে। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজ করে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ করে আল্লাহ তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। একইভাবে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি মুসলমানের প্রতি সহজ আচরণ করবে, আল্লাহ তার জন্য দুনিয়া ও আখিরাত সহজ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ তার কেয়ামতের কষ্ট দূর করে দেবেন। কাজেই পৃথিবীতে একজন
    মুফতি আরিফ খান সাদ
    মুফতি আরিফ খান সাদমুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

    পরিবেশ রক্ষায় ইসলামের তাগিদ

    পৃথিবীতে মানুষ যেসব বিরূপ পরিবেশ ও পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়, তার প্রধানতম কারণ ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত পাপ। মানুষের উপর্যুপরি পাপের ভারে প্রকৃতি আজ ভারসাম্য হারিয়ে বিরূপ আচরণ করছে মানুষের সঙ্গে। শীতের মৌসুমে পরিবেশ শীতল হচ্ছে না, কিন্তু যখন শীত নামছে সেটা মানুষের শরীরে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টি হচ্ছে না, কিন্তু যখন বৃষ্টি হচ্ছে, সব প্লাবিত করে দিচ্ছে। গ্রীষ্মে গরমের স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক থাকছে না, বরং প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষ ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত। পরিবেশের এ বিরূপ আচরণ মানুষের পাপের ফসল। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, ফলে তাদের কোনো কোনো অপকর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে
    সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
    সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল টেলিভিশন

    লালনের গানেও সমস্যা?

    বর্তমান সরকার কি লালন ফকিরের গান নিষিদ্ধ করেছে? এরকম একটা চিন্তা হয়তো অনেকে করতে পারেন। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। ফেসবুক স্টোরিতে মরমি সাধক লালন সাঁইয়ের গানের দুটি লাইন উদ্ধৃত করায় সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পঞ্চম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

রসগোল্লায় ভাগ্য খুলেছে শরিফের

বিদেশে বসেই প্রেমিককে হত্যার ছক আঁকেন নাজমা

ভোট দিতে না পারলে নির্বাচনের দরকার নেই : মির্জা আব্বাস

প্রবাসে ফেরা হলো না আলমগীরের, সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ 

চুক্তিভিত্তিক অ্যাডমিন অফিসার নিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট, বেতন ৪৩ হাজার

নাম পরিবর্তন করেও ধরা খেলেন মিজানুর

সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ফুলবাড়ীতে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল, দুশ্চিন্তায় কৃষক

গোয়েন্দা জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

১০

সুজনকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার

১১

এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীদের সরে আসার আহ্বান ইসি রাশেদার

১২

এক সিগারেটের আগুনে পুড়ল ১০০ বিঘা পানের বরজ

১৩

মিথিলার অর্জন

১৪

ব্র্যাক ব্যাংকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ, আবেদনে নেই বয়সসীমা

১৫

আসামি ধরতে গিয়ে পরিবারের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত

১৬

আদালত অবমাননায় আলালকে হাইকোর্টে তলব, রুল জারি

১৭

বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে

১৮

বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি

১৯

ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব

২০
‘ভ্রান্ত’ আতঙ্কে বাড়ছে না মোবাইল টাওয়ার
মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার থেকে মানবদেহ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রেডিয়েশন নির্গত হয়, এমন ধারণা বেশ প্রচলিত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে ছাত্র বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন সপ্তাহে গড়ানো ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্র বিক্ষোভ ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে বলে আলজাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের মিডিয়া স্টাডিজ অধ্যাপক মোহাম্মদ
বুড়িগঙ্গা এখন বিষের নদী
একসময়ের ঢাকার জীবনখ্যাত বুড়িগঙ্গা দূষণের কারণে এখন প্রায় মৃত। নদী রক্ষার নানা আয়োজনের ঢাকঢোল পেটানোর মধ্যেও বুড়িগঙ্গা আবার বর্জ্যের ভাগাড় ও দূষণরাজ্যে পরিণত হয়েছে। নদীর দুই পাড় ঘেঁষে এখন শুধু
ঢাকা দক্ষিণে ফের পশুর হাট পেলেন আ.লীগ নেতারা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসহ আশপাশের খালি জায়গায় বসবে পশুর হাট। ইজারাদার চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দরপত্র আহ্বানে মাত্র দুজন অংশ নেন। তবে শিডিউল কিনেছিলেন তিনজন।
বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে
বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে
তপ্ত এপ্রিলের পর মে মাস শুরু হয়েছে। এ মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি দেখা দেয়। কিন্তু থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি এলেও গরমের তীব্রতা রয়ে গেছে।  এমন পরিস্থিতিতে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সকালে ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামী ৬ তারিখের পর সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এত গরমও কিছুটা কমবে।  তিনি বলেন, মে মাসে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হলে মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।  এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে দেশের পশিচমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়াও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ৭ অঞ্চলে সতর্কসংকেত

৬ ঘণ্টা আগে

ঢাকাসহ যে ৫ বিভাগে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া

৭ ঘণ্টা আগে

সকালের মধ্যে তীব্র ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

৭ ঘণ্টা আগে

হঠাৎ কেন বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা?

১৫ ঘণ্টা আগে
ভোট দিতে না পারলে নির্বাচনের দরকার নেই : মির্জা আব্বাস
ভোট দিতে না পারলে নির্বাচনের দরকার নেই : মির্জা আব্বাস
নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলে সে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতেও পারবে না সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখ দিয়ে মানায় না। শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদ। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবের মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে উৎখাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা তো সরকারই দেখি না। এখানে তো নির্বাচন করে সরকার হয়নি। সুতরাং এ সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। মির্জা আব্বাস বলেন, প্রতিদিন আমার বাসায় ৫০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক, স্ত্রী-সন্তান আসেন। কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে আমার স্বামী জেলে, কেউ বলে আমার ছেলে জেলে, কেউ বলে আমার ভাই জেলে। কতজনের জন্য কথা বলব, আর কতজনের জন্য সান্ত্বনা দিব। তিনি বলেন, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। তার দল বিএনপির যে নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়েছেন এখন। আল্লাহই জানেন, কয়দিন পরে তার কী হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের (সরকার) মনে থাকে না, একটা মামলা দিবেন, জেলে পাঠাবেন। আর বলবেন, রাজনৈতিক কোনো রাজবন্দি জেলে নাই। এরা হলো মামলার আসামি। আরে কোন মালমার আসামি? রাজনৈতিক মামলার আসামি। যারা আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বিএনপি নেতা অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শহীদুল্লাহ তালুকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহসাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পার্থদেব মন্ডল, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, জয়দেব জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
৫৬ মিনিট আগে
সরকার পতনে বিরোধী দলগুলো একাত্ম : ড. মঈন খান
সরকার পতনে বিরোধী দলগুলো একাত্ম : ড. মঈন খান
ঝালকাঠিতে আ.লীগের তিন নেতা বহিষ্কার
ঝালকাঠিতে আ.লীগের তিন নেতা বহিষ্কার
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা আ.লীগের দোসর : সেলিম ভূঁইয়া
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা আ.লীগের দোসর : সেলিম ভূঁইয়া
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে বিএসপি
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে বিএসপি
আ.লীগ নেতারা নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করতে চাচ্ছে : প্রিন্স
আ.লীগ নেতারা নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করতে চাচ্ছে : প্রিন্স
রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে চায় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’
রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে চায় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—রপ্তানি করা প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ধার্য করা হয়েছে ৫৫০ ডলার, যা নির্ধারণ করে ডিজিএফটি। পেঁয়াজ রপ্তানির এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এ সময় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা, যা সামাল দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের। ভারতের মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশটির মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের বেশিরভাগ আসে এই রাজ্য থেকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরিশাসসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।

এপ্রিলে কমেছে রপ্তানি আয়

নানা ধরনের সংকট এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকেই রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। টানা তিন মাস এই প্রবৃদ্ধি বজায় থাকলেও চতুর্থ মাসে এসে ছন্দপতন দেখা দিয়েছে। একক মাস হিসেবে এপিলে রপ্তানি আয় বেশ কিছুটা কমে গেছে। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রবৃদ্ধি দুই অবস্থান থেকেই পিছিয়ে রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। তবে রপ্তানি আয়ের প্রাণভ্রমরা তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে। সেখানেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।  রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।     প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য এবং বাইসাইকেলসহ সব খাত মিলে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ১০ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর একক মাস হিসেবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। যা গত বছরেরে একই সময়ে ছিল ৩৯৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে শূন্য দশমিক  ৯৯ শতাংশ।  রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুদিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। অর্থবছরের ১০ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি ছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। এসময় রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর এপ্রিল মাসের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭০ কোটি ডলার। যদিও এসময়ে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম এসেছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার সংকট, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার আশংকাসহ বিভিন্ন ধরনের সংকটের মধ্যেও রপ্তানি আয়ের এই প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। নানা কারণে আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে সম্প্রতি রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাকসহ পুরো রপ্তানি খাত। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে রপ্তানি আয় আরও কমবে।  এই প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, ১০ মাসে তৈরি পোশাক খাতে খুব বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি। গড়ে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশের মতো হয়েছে। নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও ওভেনে এখনো সংকট রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এখনো যে সংকট আছে, তাতে পুরো অর্থবছর শেষে খুব ভালো কিছু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে কৌশলগুলো নিয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই চলতি মাসে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর পাশাপাশি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন বাজার খোঁজার ক্ষেত্রেও তারা কাজ করছে বলে জানান।  বিভিন্ন খাতে রপ্তানি আয়ের উত্থান-পতন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৪৯ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি ডলার। সেই হিসাবে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যদিও এসময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কম হয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রপ্তানি আযয়ের প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে ৭০ কোটি ২৫ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।  চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে এই খাতটিতে। আলোচ্য সময়ে ৭৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।  এদিকে, আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে এই খাতের রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮৭ কোটি ২৪লাখ ডলার। যা ২০২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এ সময় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও কমেছে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৭১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৭ কোটি ০৮ লাখ ডলার। হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছের রপ্তানি আয় ৩৭ কোটি থেকে কমে ৩২ কোটিতে নেমেছে। তবে এসময়ে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এপ্রিলের শেষ দিনে অস্বাভাবিক রেমিট্যান্স

ঈদের আগে সাধারণত দেশের প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। আর ঈদের পরে কিছুটা কমে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিষয়টি পুরো উল্টো ঘটেছে। ঈদের আগের ১২ দিনে গড়ে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আর ঈদের পর এপ্রিলের শেষ তিনদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার। আর শুধু শেষ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসের শেষ দিতকে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, এপ্রিলের শেষ তিনদিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ শেষ ৪ দিনে গড় রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫ লাখ ডলার করে। আর এপ্রিলের শেষ দিন রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ডলারের বেশি। অথচ, ঈদের আগের ১২ দিনে দেশে এসেছিল ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসেবে প্রতিদিন এসেছে ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। মাসের শেষ দিন হঠাৎ করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হককে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এপ্রিলে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, শরীয়াহ ভিত্তিক আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে। এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
০২ মে, ২০২৪
এপ্রিলের শেষ দিনে অস্বাভাবিক রেমিট্যান্স

‘ব্যাংকের সমস্যা নীতি-নির্ধারকদের বোঝানোর মতো লোক প্রয়োজন’

‘ঋণ পুনঃপুনঃ পুনঃতপশিল ব্যাংকের মূল সমস্যা। একারণে ব্যাংকে অর্থের টান পড়েছে। এজন্য টাকা ছাপিয়ে বা বন্ডের মাধ্যমে বাজারে টাকার জোগান দিতে হচ্ছে। যার ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে না। তাই শক্ত হাতে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। এই বিষয়গুলো নীতি-নির্ধারকদের বোঝানোর মতো একটা লোক প্রয়োজন।’ বৃহস্পতিবার (২ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআর‌এফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ঋণ খেলাপি, কর খেলাপি এবং অর্থপাচার একই সূত্রে গাথা। কেন যেন অর্থ পাচারের ব্যাপারে সরকার এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) নীরব। কিন্তু এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কৃষককে ৫০০ বা হাজার টাকার ঋণের জন্য জেলে নেবে আর যে ব্যক্তি ১০হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পর উধাও হয়ে যায় তাকে সালাম দেবে, পাশে বসাব- এটা হতে পারে না। ঋণ খেলাপিদের ডেকে পাশে বসিয়ে চা আপ্যায়ন করা হয়, এটি বেশি দিন চলতে পারে না। ফরাসউদ্দিন বলেছেন, একীভূত বিষয়টা নতুন না। এটি বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তবে এক ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংককে জোর করে একীভূত করে খারাপ ব্যাংককে ভালো করা যাবে না। একীভূত বা টেকওভার হতে পারে। তবে কোনো কিছুই জোর করা ঠিক হবে না। যে দুটি ব্যাংক একীভূত হবে তাদের নিজেদের সম্মতি নেওয়া জরুরি। এ পদ্ধতি সারা পৃথিবীতেই আছে। অতীতে বাংলাদেশেও হয়েছে। এটাতে জোর করে না চাপিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একীভূত করা উচিত। সাবেক এ গভর্নর বলেন, প্রায় ১০ মাস ধরে আমাদের মূল্যস্ফীতি ১০’র কাছাকাছি। মন্ত্রীরা বলছেন ৯ দশমিক ৭ মূল্যস্ফীতির পরও মানুষ ভালো আছেন। বাস্তবতা বিবর্জিত কথা। চাকরিজীবীদের হয়তো কিছুটা বেতন বেড়েছে। তার মানে এই মূল্যস্ফীতিতে তারা ভালো আছেন এটা বলা যাবে না। তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অথচ আমরা পারিনি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের মনিটরিং পদ্ধতি বদলাতে হবে। টিভিতে মনিটরিং না করে সরাসরি তদারকি বাড়াতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে ঋণ খেলাপি, কর খেলাপি, পাচারকারী একই সূত্রে গাঁথা। এ মুহূর্তে ব্যাংকে আমানত আসা দরকার। আমানতের বিমার হার এক কোটি টাকা করা দরকার। আমানত আসতে যতো বাধা সব দূর করতে হবে। তবেই ঘরের টাকা ব্যাংকে ফিরে আসবে। তিনি আরও বলেন, এখন বোরো ফসল কাটা শুরু হয়েছে। সরকার আগামী ১৫ দিন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহ করলে কৃষকরা বাঁচবে। আবার অসাধুরা যেন কম দামে কৃষকের ফসল না নিতে পারে সেটাও দেখতে হবে। এটা করতে পারলে ফসলের আসল দাম পাবেন কৃষকরা। পরে এটা সংকট মুহূর্তে উন্মুক্ত করে দিতে পারে সরকার। বৈষম্য বিষয়ে সাবেক এ গভর্নর বলেন, ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দয়ামায়া কমে যায়। এখন সেটাই হচ্ছে। আর এ কারণেই বৈষম্য বেড়েছে। তবে পার্থক্যও কিছুটা রয়েছে। কারণ, ৩০ বছর আগের গরিব আর এখনকার গরিব এক জিনিস নয়, এর মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এ কারণে আমাদের বৈষম্যটা আগে কমাতে হবে। ইআরএফ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন, ইআরএফ নেতারাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
০২ মে, ২০২৪
‘ব্যাংকের সমস্যা নীতি-নির্ধারকদের বোঝানোর মতো লোক প্রয়োজন’

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সৌদির ৮০ কোম্পানি

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ৮০টি সৌদি কোম্পানি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী রয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে এসব কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক যাত্রায় যোগ দেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) চিফ অব স্টাফ এবং বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের সেক্রেটারি জেনারেল সাদ আল কোরডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।   এ সময় পিআইএফ মহাসচিব উপদেষ্টাকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় মহাসচিব পতেঙ্গা বন্দরে সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেন। খবর বাসসের। একই দিনে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী ইঞ্জি. মোহাম্মদ আল ইব্রাহিমের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বুধবার (১ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।  বৈঠকে সৌদি সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী বাংলাদেশকে তাদের জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থপ্রদান পদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। বৈঠকে তারা জেভি পিএপি সার প্ল্যান্ট নিয়েও আলোচনা করেন।
০২ মে, ২০২৪
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সৌদির ৮০ কোম্পানি
রসগোল্লায় ভাগ্য খুলেছে শরিফের
রসগোল্লায় ভাগ্য খুলেছে শরিফের
বিদেশে বসেই প্রেমিককে হত্যার ছক আঁকেন নাজমা
বিদেশে বসেই প্রেমিককে হত্যার ছক আঁকেন নাজমা
প্রবাসে ফেরা হলো না আলমগীরের, সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ 
প্রবাসে ফেরা হলো না আলমগীরের, সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ 
এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীদের সরে আসার আহ্বান ইসি রাশেদার
এমপিদের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীদের সরে আসার আহ্বান ইসি রাশেদার
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ফুলবাড়ীতে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল, দুশ্চিন্তায় কৃষক
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ফুলবাড়ীতে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল, দুশ্চিন্তায় কৃষক
নাম পরিবর্তন করেও ধরা খেলেন মিজানুর
নাম পরিবর্তন করেও ধরা খেলেন মিজানুর
আসামি ধরতে গিয়ে পরিবারের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
আসামি ধরতে গিয়ে পরিবারের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
সুজনকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার
সুজনকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান

সুদানে ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে : জাতিসংঘ

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।  শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।  গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।  ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।  গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।  পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।  ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।  সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৩৯
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে : ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে : ইরান
ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য
যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের
যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম ইসরায়েলের
ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা
ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা
কিম জং উনের হেরেমের গোপন কাহিনি প্রকাশ্যে
কিম জং উনের হেরেমের গোপন কাহিনি প্রকাশ্যে
বড় পর্দায় নতুন জুটি
বড় পর্দায় নতুন জুটি
মিথিলার অর্জন
মিথিলার অর্জন
মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য বাঁচলেন দেব
মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য বাঁচলেন দেব
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রোজা খন্দকার
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রোজা খন্দকার
বড় পর্দায় খুশি
বড় পর্দায় খুশি
ছেলের কাছে যাচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ
ছেলের কাছে যাচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ
মার্শাল আর্ট কিং রুবেলের আদ্যোপান্ত (ভিডিও)
মার্শাল আর্ট কিং রুবেলের আদ্যোপান্ত (ভিডিও)
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
মায়ামিতে বিশ্বজয়ী মেসির আরেক সতীর্থ!
মায়ামিতে বিশ্বজয়ী মেসির আরেক সতীর্থ!
স্টার্ক দেখালেন কেন তিনি সবচেয়ে দামি?
স্টার্ক দেখালেন কেন তিনি সবচেয়ে দামি?
বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি
বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি
ফুটবলে সবচেয়ে বিখ্যাত খেলোয়াড়ের নাম বলতে বলা হলে প্রথমেই থাকবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসির নাম। ফুটবলে প্রায় ২০ বছর ধরে রাজত্ব করা এই আর্জেন্টাইন ফুটবলে যা যা পাওয়ার সবই পেয়েছেন। বিশ্বকাপ জয়ে ফুটবলকে পূর্ণতা দেওয়া মেসির হয়তো আর ফুটবল থেকে চাওয়ার কিছু নেই। তাই এবার ফুটবলের বাইরে ব্যবসার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন এই মহাতারকা।   ফুটবলের বাইরে ইতিমধ্যেই বেশকিছু ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। যার মধ্যে রয়েছে হাইড্রেশন পানীয় তৈরির ব্যবসাও। মেসির নিজের ভাষ্যমতেই তিনি যে পানীয়টি বাজারজাত করতে যাচ্ছেন তা পানীয়র বাজারকে পুরোপুরি বদলে দেবে। মেসি ভক্তরাও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে পানীয়টির জন্য। তাদেরও জানার আগ্রহ কবে থেকে পানীয়টি তারা বাজারে পাবে? লিওনেল মেসি ও বিখ্যাত পানীয় প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্থনি ব্রান্ডস এই পানীয়টি বাজারে আনছে। এ বছরের মার্চে নিজের সামাজিক মাধ্যমে সর্বপ্রথম এই সম্পর্কিত ঘোষণা দেন মেসি। তিনি নিজেই জানান যে তিনি এই নিয়ে খুবই উৎসাহিত। মেসির এই পানীয়টি বাজারের অনান্য পানীয় থেকে আলাদা এবং সম্পূর্ণভাবে নন অ্যালকোহলিক হতে যাচ্ছে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) মেসি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে তার আসন্ন এই হাইড্রেশন ড্রিংকস সম্পর্কে আপডেট প্রকাশ করেন। তিনি জানান সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে ড্রিংকসটি জুনের ১৪ তারিখ থেকে পাওয়া যাবে। ইন্সটাগ্রামে দেওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মেসি ও তার স্ত্রী অ্যান্তোনেলা রোকুজ্জো ড্রিংকস প্রস্তুতকরা ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখছেন।           View this post on Instagram                       A post shared by Leo Messi (@leomessi) মেসি ভিডিওর ক্যাপশনে লেখন, ‘আমরা নিজেদের হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রেশন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে জেনেছি।’ তবে মার্ক অ্যান্থনি ব্রান্ডসের সঙ্গে তৈরি করা পানীয় বাদেও মেসির আরো অনেক ব্যবসা ও পার্টনারশিপ রয়েছে যেখান থেকে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বছরে বড় ধরনের অর্থ আয় করেন। ফোর্বসের মতে মেসির বর্তমান আর্থিক ভ্যালু প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো। অ্যাডিডাস, পেপসিকো, বাডউইসার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা পান বিশ্বের সেরা এই ফুটবলার। অবশ্য জুনে মেসির নন অ্যালকোহলিক হাইড্রেশন ড্রিংক বাজারে আসলেও পানীয়টির নাম এখনো ঠিক করা হয়নি।    
অভিষিক্ত তামিমের অর্ধশতকে টাইগারদের সহজ জয়
অভিষিক্ত তামিমের অর্ধশতকে টাইগারদের সহজ জয়
রোহিতদের হটিয়ে টেস্টের এক নম্বর দল এখন অস্ট্রেলিয়া 
রোহিতদের হটিয়ে টেস্টের এক নম্বর দল এখন অস্ট্রেলিয়া 
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
*/ ?>
X