ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। আগের সিরিজ জয়টি ছিল ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডে।
ফ্লোরিডার লডারহিলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশ করেছিল ১৮৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭.১ ওভারে ১৩৫ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির বাধায় আর ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ/লুইস (ডি/এল) পদ্ধতিতে ১৯ রানের ব্যবধানে জিতে গেছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল সকালে শুরু ম্যাচের প্রথম বলেই স্যামুয়েল বদ্রিকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেছিলেন লিটন। লিটন-তামিমের ওপেনিংয়ে ৬১ রানের জুটি গড়ে। তবে পুরো সিরিজে দারুণ খেলে তামিম ইকবাল এদিন মাত্র ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে গেলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সে ধারাবাহিকতা তৃতীয় ও চতুর্থ নম্বরে নামা সৌম্য সরকার (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১২) ব্যর্থ হন।
তবে এক পাশ আগলে রেখেছিলেন লিটন। ৩২ বলে ৬১ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। এই ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার মার দিয়ে। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ২২ বলে ২৪ রান করেন। তবে পঞ্চম উইকেটে আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ দারুণ দৃঢ়তা দেখালে প্রতিপক্ষের সামনে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ ছুঁড়ে দেয়া সম্ভব হয়। মাহমুদউল্লাহ শেষ দিকে নেমে ২০ বলে ৩২ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরিফুল হক, তিনি করেন ১৬ বলে ১৮ রান। উইন্ডিজদের হয়ে কিমো পোল ও ব্র্যাথওয়েট দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৮৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই হারিয়েছিল আন্দ্রে ফ্লেচার, চাডউইক ওয়াল্টন ও মারলন স্যামুয়েলসের উইকেট। চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন দিনেশ রামদিন ও রোভমান পাওয়েল। কিন্তু দ্বাদশ ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে জয়ের পথে আরো বেশ খানিকটা এগিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন রামদিন। শেষপর্যায়ে ২১ বলে ৪৭ রান করে উইন্ডিজ শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই তাঁকে আউট করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩১ রানের বিনিময়ে মোট তিনটি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। সাকিব, রুবেল, রনি ও সৌম্য একটি করে উইকেট নিয়ে ২-১ ব্যবধানে স্মরণীয় সিরিজ জয়ে অবদান রেখেছেন। গতকালের খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন লিটন দাস আর সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বিজয়ী অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।