দ্রুততম মানবের বিশ্বরেকর্ড উসাইন বোল্টের। ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার শেষ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন জ্যামাইকার লাইটিং বোল্ট। আর বলা হয় বল ছাড়া ১০.১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তাই তো নিজের সেরা সময়ে এমবাপ্পের বিরুদ্ধে দৌড়াতে না পারার আক্ষেপ করেন অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী এ অ্যাথলিট। তবে তিনি নাকি ভয়ে আরেকজনের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছেন না।
এমন দাবি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইলের। এই দুই জ্যামাইকানের মধ্যে বন্ধুত্বটা বেশ গাঢ়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির কাছে বোল্টকে ১০০ মিটারের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানোর গল্প বলেন গেইল।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত করা হয় বোল্টকে। এরপরই একটি ভিডিও প্রকাশ করে আইসিসি। সেই ভিডিওতে বোল্টকে চ্যালেঞ্জ জানানোর গল্পটা বলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটর সর্বোচ্চ রানের মালিক।
গেইল বলেন, ‘উসাইন বোল্ট আমাকে একটা দাতব্য (চ্যারিটি) ম্যাচে আউট করেছিল। আমিই তাকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সে ভালো একটা বাউন্সার করেছিল। বেশ ভালো একটা বাউন্সার, মিথ্যা বলব না, আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর মনে হলো, এটা তো সিরিয়াস (গুরুত্বপূর্ণ) ম্যাচ নয়, আমি কী করছি! ফলে তাকে মারতে শুরু করলাম। একটা বা দুটা ছয়ও মেরেছিলাম, সঙ্গে কয়েকটি চার। শেষ পর্যন্ত ইনসাইড-এজে বোল্ড।’
এরপরই বোল্ট বলে উঠেন কথা, ‘এখনো এটা ইউটিউবে আছে, চাইলেও সে তা অস্বীকার করতে পারবে না সে।’
এর উত্তরে বিশ্বের দ্রুততম মানবকে উদ্দেশ্য করে টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা বলেন, ‘আমি তো তা-ই বললাম, তুমি আউট করেছ আমাকে। আমি এবার ট্র্যাকে (তোমার সঙ্গে) দৌড়াতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে ১০০ মিটারের ট্র্যাকে সে দেখতে চায় না। এখনো আমাকে ভয় পায়। সহজেই তাকে (হারাতে পারব)। শুনুন, উসাইন শুধু অনেকটুকু ধুলা দেখবে। ইউনিভার্স বস একনিমেষে উড়ে যাবে।’
এমন দাবি শুনে অট্টহাসিতে বোল্ট বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, ক্রিস (গেইল) দৌড়াতে পারে না। আমরা দেখেছি, ক্রিস (গেইল) দ্রুত সিঙ্গেল বা এমন রান নেয় না। আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত নই।’
এ সময় দৌড়ে রান না নেওয়ার বিষয়টিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করে গেইল বলেন, ‘এটা অনেক বড় মিথ্যা। আমি এক রান নিয়েছি, দুই, তিন--যেটিই বলুন না কেন। এমনকি মাঝে মাঝে দৌড়ে চার রানও নিয়েছি।’
এ সুযোগে বোল্টকে আবারও চ্যালেঞ্জ জানা গেইল, ‘উসাইন (বোল্ট), স্পাইক (দৌড়ানোর বিশেষ জুতা) প্রস্তুত করো। অন্য কোনো অ্যাথলেটকেও ডাকতে পারো। ইয়োহান (ব্লেক), আসাফা (পাওয়েল), যে কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। আমি তো (যাব) না।’
এখন গেইলের এমন চ্যালেঞ্জ বোল্ট গ্রহণ করলেই হয়!