শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন
পৃথিবীতে ক্রিকেট খেলার বয়স তো আর কম হলো না। প্রায় ১৫০ বছর ধরে যে খেলা মানুষ উপভোগ করছে এই খেলার সেরা খেলোয়াড় কে এমন প্রশ্নে বেশির ভাগ লোকের মুখে যে নাম সবার আগে থাকবে সেটি হলো শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। সর্বকালের সেরা ব্যাটার কিংবা ক্রিকেটার সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকবে ভারতীয় এই ক্রিকেটারের নাম।
শচীন নামটিই এখন ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের নামের পাশে যত রেকর্ড আছে সেটি বলতে গেলে এক রাত পার হয়ে যাবে। ক্রিকেটের এই বরপুত্রকে তো আর বিনা কারণে ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ বলে ডাকা হয় না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের ৫১ তম জন্মদিন।
১৯৭৩ সালের এই দিনেই মুম্বাইয়ে রমেশ টেন্ডুলকারের ঘর আলো করে জন্ম নেয় শচীন। তার বাবা ছিলেন শচীন দেব বর্মনের বড় ভক্ত তাই ছেলের নাম দেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নামকে ৫১তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
ক্রিকেটকে প্রায় দুই যুগ ধরে শাসন করা এই ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর। আর পরের বছরের ১১ আগস্ট ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়ে যান নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর সর্বশেষটি আসে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ৬৬৪ ম্যাচ খেলে তিনি ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন, ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যাও ১০০। টেস্টে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯২১ রান, ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ রান, সর্বোচ্চ ২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ ওয়ানডে ম্যাচের রেকর্ড। বর্তমানে শচীনের এ রেকর্ডগুলো ভাঙা প্রায় অসম্ভব।
ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিও তার। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৭ বলে অপরাজিত ২০০ রান করেন। এরমধ্যে ক্রিকেটের বরপুত্র পেয়ে যান জীবনের সেরা অর্জনও। ২০১১ সালে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উঁচিয়ে ধরেন ক্রিকেটের পরম আরাধ্য সোনালি ট্রফি। তার ক্যারিয়ারে তখন পর্যন্ত যে একটি অপুর্ণতা ছিল সেটি পূরণ করেন বিশ্বকাপ জিতে।
যে নভেম্বরে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, ২৪ বছর পর সেই মাসেই শেষ টেনে ফেলেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেন শেষ ম্যাচ। ওয়াংখেড়েতে টেস্ট ম্যাচে খেলেন ৭৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
ক্রিকেট জগতে টেন্ডুলকার একজনই। অদম্য, অতুলনীয়, অসাধারণ কিংবদন্তি এক ক্রিকেটার! শুভ জন্মদিন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।