কলাপাড়া প্রতিনিধি: কলাপাড়া উপজেলার কলাপাড়া ও কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেতুর দ্বার উন্মুচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতু দু’টির উদ্বোধন করেন। সেতু উদ্বোধনের খবর শুনে মূহুর্তে শত শত স্থানীয় মানুষ সেতু দু’টিতে ভীড় জমায় । কলাপাড়া, কুয়াকাটা, মহিপুর ও আলীপুরের সর্বত্র এখন উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দরবার হলে আয়োজিত এ ভিডিও কনফারেন্সে চীফ হুইপ আসম ফিরোজ, সংসদ সদস্য এবিএম রুহুলআমীন হাওলাদার, সংসদ সদস্য আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হেসাইন, সংসদ সদস্য মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারী কর্মকর্তা ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের তিনটি নদীর উপর শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু নির্মান ছিল দক্ষিনাঞ্চলবাসীর প্রানের দাবী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিনাঞ্চলে সফরকালে কলাপাড়া এম বি কলেজ মাঠের এক জনসভায় আন্ধারমানিক, সোনাতলা, শিববাড়িয়া নদীর উপর তিন সেতুর নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার আন্ধার মানিক নদীর ওপর নির্মিত প্রি-ষ্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডারের ১৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত শেখ কামাল সেতুটি নির্মানে ব্যায় হয় ৬৫ কোটি ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। সেতুটি দৈর্ঘ্য ৮৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। এছাড়া হাজীপুর সোনাতলা নদীর ওপর নির্মিত প্রি-ষ্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডারের ১০টি স্প্যানের ওপর নির্মিত শেখ জামাল সেতুটি নির্মানে ব্যায় হয় ৪৩.৪৩ কোটি টাকা। দৈর্ঘ্য ৪৮৩.৭১৫ মিটার ও প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। সেতু দু’টিতে সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুরের শিববাড়ীয়া নদীর উপর শেখ রাসেল সেতুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। মৎস বন্দর মহিপুর ও আলীপুরে স্থানীয় ব্যবসায়িরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর। এখান থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেতু তিনটি দ্বার খুলে দেওয়ায় কম সময়ে মাছ সরবরাহ করা যাবে বলে তারা জানান।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, পর্যটন স্পট কুয়াকাটার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপ এগিয়ে গেল। এ সেতু দু’টি উদ্বোধনের কারনে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেল স্থানীয়, দেশি-বিদেশি পর্যটক। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে শুধু শীত মৌসুমে নয়। সারা বছরই কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন ঘটবে।
#