আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উদযাপন করল বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস
নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। কপিরাইট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে র্যালি, সেমিনার এবং পুরস্কার প্রদানের মতো কার্যক্রমে দিবসটি পালন হয়।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি জাতীয় রাজস্ব ভবনের সামনে প্রদক্ষিণ করে আবার কপিরাইট অফিসে এসে শেষ হয়।
এরপর কপিরাইট অফিসের সম্মেলনকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাসম্পদের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
কপিরাইট রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরুল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কপিরাইট বোর্ডের সদস্য জাফর রাজা চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।
এ সময় খলিল আহমদ বলেন, যারা মেধাস্বত্ব এর দাবিদার তারা যেন অর্থ পায়, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন অর্থ পায় সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এজন্য একটি প্রবিধানমালা করছি। সেগুলো আরও উন্নত করতে অংশীজনদের সঙ্গে বসতে চাই। শাহ আবদুল করিমের উত্তরাধিকারদের আমরা মেধাস্বত্ব এর অর্থ বুঝিয়ে দিতে কাজ করছি। যারা রয়্যালটি পান না, কেন পাচ্ছেন না, কিভাবে পাওয়া যায়; সেসব বিষয়ে কাজ করতে চাই। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে ভালো একটা প্রবিধানলালা করতে চাই।
কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল চৌধুরী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে কপিরাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০০০ সালের কপিরাইট আইনের মধ্যে যেসকল বিষয় অস্পষ্ট ছিল এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বিষয়ে অনেক দুর্বলতা ছিল সে বিষয়ে নজর রেখেই কপিরাইট আইন ২০২৩ পাস করা হয়েছে। বর্তমানে এ আইনটিকে সংগীতসহ সকল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সুরক্ষায় যথাযথভাবে প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেবল সরকার নয়, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদেরও এগিয়ে আসা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কপিরাইট দিবস উপলক্ষে মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০২২ সালের জন্য সাহিত্য কর্মে নিমফিয়া পাবলিকেশন, সফটওয়্যার কর্মের জন্য আয়মান সাদিক, চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জন চৌধুরী ও শিল্পকর্মের জন্য হাসান ফারুক মো. পাভেল রহমানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও ২০২৩ সালের জন্য সাহিত্য-সংকলন/সম্পাদনা কর্মের জন্য প্রেস ইনস্টিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), চলচ্চিত্রের জন্য বারিন্দ মিডিয়া লি., শিল্প কর্মের জন্য মো. সাকলায়েন মোস্তাক ও সফটওয়্যারের জন্য রফিদ মোহাম্মদ এহসানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে